তেতুলিয়া প্রতিনিধি:তেঁতুলিয়া অন্তরা (২৩) নামের দুই সন্তানের জননীকে গলা টিপে হত্যা করে পালিয়েছে ঘাতক স্বামী ।
আজ মঙ্গলবার সকালে তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের জামুড়ীগুড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত অন্তরা তেঁতুলিয়া সদরের হাফিজোত গ্রামের আজিজুল হক (৪০) এর মেয়ে।
নিহতের পিতার লিখিত অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় ২০১৯ সালে জামুড়ীগুড়ি গ্রামের মৃত- ওয়াহেদ আলীর ছেলে তুলা মিয়া (৪০) এর সংগে ইসলামী শরীয়া মতে বিবাহ হয়। বিবাহের সময় অন্তরার পিতা ছেলেকে যৌতুক হিসেবে ৩০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু যৌতুক লোভী তুলা মিয়া বিবাহের কিছুদিন যাবার পর অন্তরার পিতার নিকট থেকে আরও ৩ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ দেন। কিন্তু অন্তরা পিতার বাড়ি থেকে টাকা নিতে অস্বীকার করলে শাশুড়ী সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের যোগসাজসে তুলা মিয়া নির্যাতন করতে থাকে। এনিয়ে গত ১০ জুলাই তাদের পারিবারিক ঝগড়া বিবাদ হয় এবং অন্তরাকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে যৌতুকের টাকা নিয়ে আসার জন্য মারপিট করে। এতেও অন্তরা রাজি না হলে গত ১৩ জুলাই দিবাগত রাতে দুলাল মিয়া স্ত্রী অন্তরাকে আবারও নির্যাতন করে। দু’দিনের নির্যাতনের একপর্যায়ে ১৪ জুলাই সকালে অন্তরার মুখে উড়না ঢুকিয়ে দিয়ে গলা টিপে হত্যার পর বিষ খেয়েছে বলে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। পল্লী চিকিৎসক অন্তরাকে মৃত্য বললে দুলাল মিয়া তাকে বাড়িতে নিয়ে বারান্দা ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
প্রতিবেশী লোকজনের মুখে খবর পেয়ে অন্তরার পিতা আজিজুল থানা পুলিশ সংগে নিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। উল্লেখ্য যে, দুলাল মিয়ার আগের স্ত্রী মরার পর অন্তরাকে ২য় বিবাহ করে। আগের স্ত্রীর একটি কন্যা সন্তান আছে। নিহত অন্তরার এক ছেলে ও কন্যা সন্তান জননী।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশ থানায় আনা হয়েছে। এব্যাপারে নিহতের পিতা বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply