ডেক্স নিউজ : ট্রেনের মোট আসন সংখ্যার ২৫ শতাংশ টিকিট আজ শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে স্টেশন কাউন্টারে বিক্রির কথা ছিল। কিন্তু কাউন্টারে গিয়ে জানা গেছে, ২১ তারিখের আগে কাউন্টারে টিকিট পাওয়া যাবে না। এ চরম ভোগান্তিতে পড়া যাত্রীরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। শনিবার কমলাপুর রেলস্টেশনে সরেজমিনে দেখা গেছে, যে কয়জন টিকিট নিতে এসেছিলেন তারা সবাই ফিরে যাচ্ছেন খালি হাতে।
এ বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার জানান, অনলাইনে ১০ দিন আগের টিকেট দেওয়া থাকে। সেসব টিকিট শতভাগই বিক্রি হয়ে গেছে। এ কারণে আপাতত এই ১০ দিনের (২১ তারিখের আগের) কোনও টিকিট কাউন্টারে মিলবে না।
এর আগে ট্রেনের মোট আসন সংখ্যার ২৫ শতাংশ টিকিট শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে স্টেশন কাউন্টারে পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ে উপ-পরিচালক (টিসি) মো. নাসির হাসান খাঁন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোনো স্টেশনের অনুকূলে কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণিতে বর্তমান নিয়মে বিক্রয়কৃত মোট আসনের ৫০ শতাংশ টিকিটের সংখ্যা ছয়টির বেশি হলে কাউন্টার, অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইলের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। টিকিটের সংখ্যা অনধিক ছয়টি হলে তা শুধু অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইলের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।
এতে আরও বলা হয়েছিল, প্রতিটি ট্রেনে মোট আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ টিকিট থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকূলে সংরক্ষিত থাকা দুই শতাংশ আসন বাদ দিয়ে হিসাব করতে হবে। কাউন্টার ও অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইলে বিক্রি না হওয়া টিকিট যাত্রার ১২০ ঘণ্টা আগে যেকোনো মাধ্যম থেকে ইস্যু করা যাবে। সকাল ৮টা থেকে কাউন্টারে মাধ্যমে এবং বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৬টা থেকে অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইলের মাধ্যমে টিকিট ইস্যু করা যাবে।
উল্লেখ্য, নতুন করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে দুই মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর গত ৩১ মে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ৫ সেপ্টেম্বর থেকে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করে চলাচল করছে ট্রেন। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৩৬২টি ট্রেনের মধ্যে স্বাভাবিক সময়ে ১০২টি আন্তঃনগর এবং বাকি ২৬০টি লোকাল, কমিউটার ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করে।
Leave a Reply